জুলাই ২০১৩
৩/১ ডি, নস্করপাড়া লেন
কলকাতা - ৩১
প্রিয় সমীরদা,
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে লেখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি চিঠি ( ১৫ জুন ১৯৬৪ তারিখে আইওয়া থেকে ) যা সম্প্রতি 'শহর' পত্রিকার অক্টোবর-নভেম্বর ২০১২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে, তার একটি প্রতিলিপি পাঠালাম । চিঠি ছাপা হওয়ার পর মলয়দা একদিন মুম্বাই থেকে ফোন করেছিলেন । আমাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয় । আমি সেই চিঠির মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু হাংরি আন্দোলন ও মলয় রায়চৌধুরী বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত, যা হাংরি এবং মলয়দা বিরোধী দেখতে পাই । অনেকেই দেখেছেন, মলয়দাও দেখেছেন । আমার মনে হয় এগুলো যেহেতু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠির সূত্রে একতরফা ভাবে প্রকাশিত, তাই আপনাদের মতামত ও পিছনের কারণগুলো সামনে আসা দরকার । বিশেষভাবে মলয়দার । যদিও এই ধরণের মতামত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আমরা আগেও পড়েছি হাংরি নিয়ে, মলয়দাকে নিয়ে । অনেক সময়ে গোটা হাংরি আন্দোলনের একমাত্র ধারক হিসাবে সুনীলবাবু বারবার তাই মলয়দাকে টার্গেট করেন । এটা বোঝা যায় যে হাংরির মূল থিংক ট্যাঙ্ক কে, কাকে আক্রমণ করলে কী হবে, অতএব মলয় রায়চৌধুরীকে আক্রমণ করো । হয়তো সুনীলবাবু মলয় রায়চৌধুরীকেই শুধু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলে মনে করতেন আর তাই বারবার তাঁকে আক্রমণের একটা পদ্ধতি ব্যবহার করতেন, যাতে মলয়, হাংরি আন্দোলনের চিন্তার ধারক, তাকে ধ্বসিয়ে দিলে, নস্যাৎ করলে, অন্যরা বাঁচবে না, থাকবে না । এটা হাংরি বিষয়ে আমার অবজারভেশন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আক্রমণ প্রসঙ্গে । কিন্তু আমরা জানি, উনি হাংরি মামলায় পক্ষে মতামত জানিয়েছিলেন । সেটা তাঁর আদর্শবোধ নাকি সাহিত্যিক রাজনীতি, সেটাও আজ নতুন জেনারেশনের জানা দরকার, মলয় রায়চৌধুরীকে নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এত আপত্তি কেন, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছাড়া আর কী কী কারণে মলয়দাকে এই খেলায় বাদ দিতে চাইতেন তিনি বা দ্বিচারিতা করতেন, অপছন্দ করতেন, নাম কাটতেন, সে-সব এখন পরিষ্কার হওয়া দরকার । তাই যদি সেই চিঠির একটা আলোচনা আপনারা করেন, যা সাহিত্যিক ইতিহাসের প্রকৃত ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করবে । এটা হওয়া জরুরি । আমরা জানি মেইনস্ট্রিম তার মতো করে ইতিহাস রচনা করে এবং সেটাকেই একমাত্র ইতিহাস বলে ; সেটা যে একমাত্র সত্য নয়, সেটা এবার সামনে আসা দরকার । ইতিহাস মুখ তুলে তাকাক ।
অদ্রীশ বিশ্বাস
৩/১ ডি, নস্করপাড়া লেন
কলকাতা - ৩১
প্রিয় সমীরদা,
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে লেখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি চিঠি ( ১৫ জুন ১৯৬৪ তারিখে আইওয়া থেকে ) যা সম্প্রতি 'শহর' পত্রিকার অক্টোবর-নভেম্বর ২০১২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে, তার একটি প্রতিলিপি পাঠালাম । চিঠি ছাপা হওয়ার পর মলয়দা একদিন মুম্বাই থেকে ফোন করেছিলেন । আমাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয় । আমি সেই চিঠির মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কিছু হাংরি আন্দোলন ও মলয় রায়চৌধুরী বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত, যা হাংরি এবং মলয়দা বিরোধী দেখতে পাই । অনেকেই দেখেছেন, মলয়দাও দেখেছেন । আমার মনে হয় এগুলো যেহেতু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠির সূত্রে একতরফা ভাবে প্রকাশিত, তাই আপনাদের মতামত ও পিছনের কারণগুলো সামনে আসা দরকার । বিশেষভাবে মলয়দার । যদিও এই ধরণের মতামত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আমরা আগেও পড়েছি হাংরি নিয়ে, মলয়দাকে নিয়ে । অনেক সময়ে গোটা হাংরি আন্দোলনের একমাত্র ধারক হিসাবে সুনীলবাবু বারবার তাই মলয়দাকে টার্গেট করেন । এটা বোঝা যায় যে হাংরির মূল থিংক ট্যাঙ্ক কে, কাকে আক্রমণ করলে কী হবে, অতএব মলয় রায়চৌধুরীকে আক্রমণ করো । হয়তো সুনীলবাবু মলয় রায়চৌধুরীকেই শুধু শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বলে মনে করতেন আর তাই বারবার তাঁকে আক্রমণের একটা পদ্ধতি ব্যবহার করতেন, যাতে মলয়, হাংরি আন্দোলনের চিন্তার ধারক, তাকে ধ্বসিয়ে দিলে, নস্যাৎ করলে, অন্যরা বাঁচবে না, থাকবে না । এটা হাংরি বিষয়ে আমার অবজারভেশন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আক্রমণ প্রসঙ্গে । কিন্তু আমরা জানি, উনি হাংরি মামলায় পক্ষে মতামত জানিয়েছিলেন । সেটা তাঁর আদর্শবোধ নাকি সাহিত্যিক রাজনীতি, সেটাও আজ নতুন জেনারেশনের জানা দরকার, মলয় রায়চৌধুরীকে নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এত আপত্তি কেন, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছাড়া আর কী কী কারণে মলয়দাকে এই খেলায় বাদ দিতে চাইতেন তিনি বা দ্বিচারিতা করতেন, অপছন্দ করতেন, নাম কাটতেন, সে-সব এখন পরিষ্কার হওয়া দরকার । তাই যদি সেই চিঠির একটা আলোচনা আপনারা করেন, যা সাহিত্যিক ইতিহাসের প্রকৃত ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করবে । এটা হওয়া জরুরি । আমরা জানি মেইনস্ট্রিম তার মতো করে ইতিহাস রচনা করে এবং সেটাকেই একমাত্র ইতিহাস বলে ; সেটা যে একমাত্র সত্য নয়, সেটা এবার সামনে আসা দরকার । ইতিহাস মুখ তুলে তাকাক ।
অদ্রীশ বিশ্বাস